নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় এক দোকান কর্মচারীর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিংগা হিন্দুপাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনায় দোকান কর্মচারী মো.আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা হলেন চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোস্তফা কামাল মনির (১৯), চকরিয়া পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোসাইটি পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রাফিজুল ইসলাম রাতুল (১৯), একই এলাকার জাফর আলমের ছেলে আরিফ (১৯) ও মনু ড্রাইভারের ছেলে ফাহিম (১৯)।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌর শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের দত্ত এন্ড হার্ডওয়ারে চাকুরী করে আসছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় ছিনছাইকারীরা আমাকে পথরোধ করে মারধর করতে থাকে। পরে তারা আমার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমি চিৎকার করে উঠলে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট। এসব ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে অনেক নগদ টাকা, মোবাইলসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র হারালেও তেমন কোন প্রতিকার মেলেনি। ফলে একর পর এক ছিনতাইয়ের কারণে প্রায় সময়ই পৌর শহরের ব্যবসায়ীদের আতংকের মধ্যে থাকতে হয়।
বর্তমানেও পৌর শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, ওয়াপদা সড়ক, বিমান সড়কগুলো এখন ছিনতাইকারীদের দখলে রয়েছে। এই সড়কের কুলিং কর্ণারগুলো ছিনতাইকারীদের আড্ডার স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুযোগ বুঝে তারা প্রায় সময় বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকাসহ নানা জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। তবে কোন ছিনতাইকারী ধরা পড়লে তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হাজির হয়ে যায়। এ সময় তারা নানা ধরনের হুমকি-ধুমকি দিতে থাকে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এক দোকান কর্মচারীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই ও মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। ওসি আরও বলেন, পৌরশহরসহ পুরো উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে। সুতরাং কেউ অপরাধ করে পার পাবার সুযোগ নেই।
পাঠকের মতামত: